চাঁদে সাঈদীকে সত্যি দেখা গিয়েছিল? তার ব্যাখ্যা
লিখেছেন লিখেছেন ইসহাক মাসুদ ০৪ মার্চ, ২০১৩, ০৪:২৫:০৬ বিকাল
শনিবার রাত প্রায় ৪টায় আমার এক আত্নীয় আমাকে ফোন করে বললেন। মামা সাঈদি সাহেবকে নাকি চাঁদে দেখা যাচ্ছে আপনি ঘুম থেকে উঠে দেখুনতো। আমি তাকে সরাসরি বলি মামা আমি এ ধরণের গুজবে বিশ্বাস করি না। তা এই সুন্দর ঘুমটাকে খারাপ করতে চাই না; এই বলে আমি ঘুমিয়ে পাড়ি। সকালে বাজারে আমার কর্মস্থলে আসে দেখতে পাই অনেকে এ বিষয়ে কথা বলেছেন। আমাকে কয়েকজন বললেন তারাও দেখেছেন । এখন বিষয়টা হল চাঁদে কারো প্রতিচ্ছবি দেখা সম্ভব কিনা। আমি এ বিষয় নিয়ে কিছু আলোচনা করব। এখানে দুই ধরনের ব্যাখা হতে পারে। (ক) বৈজ্ঞানিক ভাবে (খ) ধর্মীয় দৃষ্টিকোনে। আমি প্রথমে বৈজ্ঞানিক ভাবে আমাদের মত দেশের যে পযুক্তি আছে তা দ্বারা সম্ভব নয়। আর যে কয়েকটি ছবিতে আল্লামা সাঈদির মখাবয়ব দেখা যাচ্ছে বলে নেটে প্রকাশ পেয়েছে সেগুলে দেখে আমার মনে হয়েছে ও গুলো ফটোশপের ইডিট করা পাঠকের বুঝার জন্য সেগুলোর একটি আমি পোষ্ট করছি।[img]http://www আমার মনে হয়েছে উক্ত বিষয়টি একান্ত মনের ধারনা। যেমন আমরা যদি আকাশে মেঘের দিকে তাকালে দেখতে পাই যেন দুইজন নারী পুরুষ পরাস্পরের চুমু খাচ্ছে। বা দেখতে রবিন্দ্রনাথের মত, নজরুলের মত । কোন প্রেমিক ব্যক্তি পড়ার সময় বইতে তার প্রেমিকাকে দেখে, রাস্তায় অন্য মহিলাকে প্রেমিকা মনে করে। আমার মনে হয় কোন সাঈদীভক্ত ভোর রাতে ঘুম থেকে উঠে কোন কারনে চাঁদের দিকে তাকানোর পর, চাঁদে সাঈদীর মখাবয়ব দেখে তার ভাই, বোন অথবা বৌকে দেখায়। তাদের কাছেও তেমনটি লেগেছে। তার মোবাইলে তাদের কোন আত্নীয় স্বজনকে বিষয়টি জানিয়ে দেখতে বলেন, তারা অন্যদেরকে। এভাবে বিষয়টি ছড়িয়েছে। আর ধর্মীয় দৃষ্টিকোনে যদি ব্যাখ্যা করি তাহলে সম্ভব। আল্লাহ তা'য়ালার নবী রাসুলরা যেমন সত্য তেমন তাঁদের মূজেজাও সত্য। ঠিক আওলিয়া কেরাম যেমন সত্য তেমনি তাদের কারামাত ও সত্য। একজন্য অলীর অনেক গুলো কেরামত থাকতে পারে। আর একজন মানুষ অলী হওয়ার জন্য তার পূর্ব পুরুষেরা অলী হওয়াও শর্ত না এবং একজন অপরাধীও চেষ্টা করলে তার এখলাস দ্বারা ও তাকওয়া দ্বারা অলী হতে পারে। তাই বলে আলেমদের টিভিতে গিয়ে সাঈদির প্রতি বিষোধাগার করার জন্য " তিনি জেলে থেকে চাঁদে গেলেন কিভাবে?" এভাবে বলার ধরকার নাই। সাঈদীকে স্বশরীরে যেতে হবে কেন? তিনি একজন ভাল মানুষ হিসাবে, তাঁর দ্বারা হাজার হাজার মানুষ হেদায়েত হয়েছেন, অনেক অমুসলিম মুসলমান হয়েছেন সে হিসাবে, তাঁর তাকওয়া ও ইখলাসের মাধ্যমে তিনি আল্লাহর নৈকট্য লাভ করেছেন, অলী হয়েছেন, তাই তিনি কেরামত দেখিয়েছেন। এতে অবাক হওয়া কি আছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে তাঁর কি ভুমিকা ছিল তা আমার জানা নাই কারন আমার জন্ম ১৯৭৭ সালে ৮ আগষ্ট। তাকে যে দুটি মামলায় আদালত ফাঁসি দিয়েছে, সেটাও প্রশ্নবৃদ্ধ। এক মামলায় বলা হয়েছে আল্লামা সাঈদি ইব্রাহিম ছুট্টিকে হত্যা করেছেন। অথচ ইব্রাহীম চুট্টির স্ত্রী ১৯৭২ সালে ১৭ জুলাই যে মামলা করেছে তার এফ আই আর এ সাঈদীর নাম নাই, পরে তাঁকে জড়িয়ে তাঁকে ফাঁসি দিয়েছে। ২য় মামলায় বৃষাবালা হত্যা মামলায় সাঈদীকে জড়িয়ে আদালত ফাঁসির আদেশ দিয়েছে।অথচ বৃষাবালা ভাই সুখরঞ্জন বালা বলছেন সাঈদী হত্যাকান্ডে জড়িত নয়। প্রসিকিউটারগন তাকে স্বাক্ষী দিতে বললে সুখরঞ্জনবালা বলেন, আমি মিথ্যা স্বাক্ষী দিতে পারব না। পরে তাকে সাঈদী পক্ষে স্বাক্ষী দিবে সন্দেহে তাকে আদালত ভবনের সামনে থকে লুকিয়ে ফেলা হয়। তার পরও আমরা যদি মেনে নিই যে, আল্লামা সাঈদী উক্ত অভিযোগে অভিযুক্ত, তারপরও তো এক মানুষ আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে ক্ষমা পেতে পারেন এবং ঈমান ইখলাচ ও তাকওয়া দ্বারা আল্লাহর অলী হতে পারেন। যেমন অনেক ডাকাত আল্লাহর অলী হয়েছেন। যেমন নিজাম উদ্দীন আওলিয়া।
বিষয়: বিবিধ
১৩৩৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন